সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার এই তিন বিষয়কে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে চায় বিএনপি। একইসঙ্গে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার সুপারিশ করবে দলটি। খুব শিগগিরই সংস্কার প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা দেবে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "শেখ হাসিনার চলে যাওয়া মানে ফিফটি পার্সেন্ট সংস্কার হয়ে গেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই মূল সংস্কার করবে। আওয়ামী লীগের আমলে যেসব সংস্কার হয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে আগের অবস্থায় যাওয়া হবে। ৩১ দফা প্রস্তাবের বিস্তারিত সংস্কার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে সোমবার জমা দেওয়া হবে।"
তিনি আরও বলেন, "২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চাই। তবে বর্তমান অবস্থায় আগামী এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।"
প্রায় প্রতিদিনই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। একইসঙ্গে সংস্কার নিয়ে দলটির অবস্থান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু এখন হওয়া উচিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিকুর রহমান খান মনে করেন, বিএনপি রাজনৈতিক কৌশলে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, "বিএনপি খুব ভেবেচিন্তে কর্মসূচি দিচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থায়ী সমাধান নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত।"
বিএনপির এই উদ্যোগ রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে পরিবর্তনের পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।